কড়া নিরাপত্তায় চলছে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ কোথায় কি পরিস্থিতি এখন?

লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় সোমবার ভোট নেওয়া হচ্ছে বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বোলপুর, বীরভূম, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর ও আসানসোল কেন্দ্র ভোটে নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য ঢালাও নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বাহিনী দেওয়া হয়েছে পূর্ব বর্ধমানে।

বিভিন্ন বুথের পাশ্ববর্তী এলাকার অবস্থা –

* ভোট তদারকিতে বহরমপুর শহরে বুথে অধীর। বড়সড় কোনও অভিযোগ না পেলেও বেলডাঙা, বড়ুয়া এবং ভরতপুর থেকে এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। টেলিফোনে কথা বলছেন কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে। বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গেই জেলা প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে জানিয়ে সমাধানের চেষ্টা করছেন।

* আসানসোল থেকে পান্ডবেশ্বরের পথে অন্ডাল থানা এলাকার হরিপুরে আটকে দেওয়া হল বিজেপির পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন তিওয়ারীকে। পুলিশের বক্তব্য জিতেনের গাড়ির মুভমেন্টের অনুমতি থাকলেও তিনি পাণ্ডবেশ্বরের ভোটার নন। জিতেনের পাল্টা অভিযোগ, তিনি পান্ডবেশ্বরের ইনচার্জ। তিনি আসানসোল লোকসভার ভোটার। পুলিস তৃণমুলকে ভোটলুঠের সুবিধা করে দিতে তার গাড়ি আটকেছে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে প্রার্থীর মাধ্যমে জেলাশাসককে নালিশ জানিয়েছেন জিতেন। পুলিস ও জিতেনের মধ্যে শুরু হয় বচসা।

* কৃষ্ণনগর চাপড়া স্বামী বিবেকানন্দ হাই স্কুল, এখানে দুষ্কৃতীদের মুখে গামছা বেঁধে বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় সকাল ১০:৩০- ১১ টা নাগাদ। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তেহট্ট বিধানসভার নারায়ণপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ এবং ১৯ নম্বর বুথে সিপিআইএম এজেন্টকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

* ভাতার বিজেপির কো-কনভেনার রাজকুমার হাজরা সহ ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীকে আটক করল ভাতার থানার পুলিস। এলাকায় অশান্তি পাকানোর অভিযোগে আটক।