ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ বিরতিতে যেতে রাজি রাশিয়া। শুধু শর্ত একটাই ইউক্রেনে নেটোর যোগ দেওয়া বন্ধ করবে হবে। ২০২২এর অক্টোবরে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসান কিছুতেই হচ্ছেনা, তবে এবার খোদ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের বক্তব্য, নেটোর যোগ দেওয়া অবিলম্ভে বন্ধ করতে হবে ইউক্রেনকে তবেই হবে যুদ্ধ বিরতি।
নেটোর পাশাপাশি পুতিন আরো বলেন, ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চল রাশিয়া দখল করে নিয়েছে সেখান থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করে ফেলতে হবে জেলেনস্কির প্রশাসনকে। এই চারটি অঞ্চল হলো ডনেৎস্ক, খেরসন, লুহালস্ক ও জাপরিজিয়া।এই শর্ত যদি মেনে নেয় ইউক্রেন তবেই রাশিয়া যুদ্ধ বিরতিতে রাজি।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগের থেকেই রাশিয়ার দাবি ছিলো নেটোতে ইউক্রেনের যোগ বন্ধ করতে হবে, আমেরিকা এবং রাশিয়ার ঠান্ডা যুদ্ধ যে চিরকালীন তা সারা বিশ্বের কাছেই অবগত। সেখান থেকেই এই এই ধরণের বিচ্ছিন্ন অবস্থা তৈরি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রতি ক্ষেত্রেই যে আমেরিকা পরিত্রাতার ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করে। সাম্প্রতিককালে ইজরায়েল এবং প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বিরতিতেও ভূমিকা নিয়েছে আমেরিকা। তবে তারপরেও দেখা গিয়েছে মূলত এই গণহত্যায় আমেরিকাই মদত দিত ইজরায়েলকে । যদিও ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধে তেমন হস্তক্ষেপ করেনি আমেরিকা। আদতে যে এই সবের পিছনেই আছে তাদের নিজেস্ব রাজনৈতিক আদর্শ। সুপার পাওয়ার হিসেবে নিজেকে সর্বকালের জন্য সুপ্রতিষ্ঠিত করাই হয়তো তাদের লক্ষ্য। যদিও রাশিয়ার চুক্তিগুলোকে অযুক্তিক ভাবেই ধরে নিচ্ছে ইউক্রেন।
ইতালিতে চলছে এখন জি-৭ বৈঠক, এবং সেখানেই ইউক্রেনের সাথে ভারতের বৈঠকে মোদি পরামর্শ দেন আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করার পক্ষেই ভারত। সপ্তাহের শেষে সুইজারল্যান্ডে একটি বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে এবং সেখানে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা থাকলেও থাকছেননা মোদি, যদিও আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করার পক্ষপাতী দিল্লিও।
আরও পড়ুনঃ https://thelocaljournalist.com/%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%81%e0%a6%b9%e0%a6%a4