বেফাঁস অডিও ক্লিপ; কোন বিপাকে অভিনেতা সোহম

বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না অভিনেতা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর। চড় কাণ্ডের পর এবার ফাঁস হল তাঁর পার্সোনাল সেক্রেটারি তথা আপ্তসহায়কের সঙ্গে টেলিফোনিক কথোপকথনের অডিও ক্লিপ। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে ওই অডিও ক্লিপ শোনালেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা। ওই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি দ্য লোকাল জার্নালিস্ট।

প্রকাশ পাওয়ায় অডিওতে দুই ব্যক্তির কথোপকথন শোনা গেছে।  শঙ্কুদেবের দাবি, চণ্ডীপুরে বিজেপি কর্মীদের মারধরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই অডিও ক্লিপে। শঙ্কুদেব বলেন, বিজেপি কর্মীদের সরাসরি আক্রমণ করার জন্য লোকজন তৈরি রেখেছিলেন সোহম। এই বিষয়ে আপ্তসহায়কের সঙ্গে সোহম কথাও বলেছিলেন, এমনটাই দাবি করেন শঙ্কুদেব।

শঙ্কুদেব বলেন, “সোহম ফোনে নির্দেশ দিচ্ছেন, শুধু অ্যারেস্ট করালেই হবে না, বেল পাওয়ার পর মারধর করতে হবে।” সোহমের দিকে একের পর এক অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শঙ্কুদেব। আপ্তসহায়ক সাবধান করলেও সেকথা সোহম কানেই তোলেননি বলে দাবি শঙ্কুদেবের।

পাশাপাশি, কিছুদিন আগেই সোহমের বিধানসভা এলাকা চণ্ডীপুরে এক যুবককে অপহরণ করা হয়েছিল। সেই ঘটনার সঙ্গে যোগ ছিল সোহমের, এই দাবিও করেছেন শঙ্কুদেব। যাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল, তিনি চুল ব্যবসায়ীর ছেলে বলে দাবি করেছেন শঙ্কু। তিনি বলেন, “চণ্ডীপুরে মানুষের চুলের ব্যবসা চলে। বর্ডার পেরিয়ে মানুষের মাথার চুল পাচার করা হয়। কোটি কোটি টাকার ব্যবসা। আগে আইনি ভাবে ব্যবসা হত, এখন বেআইনিভাবে ব্যবসা করা হয়। বাংলাদেশে পাচার করা হয়। ব্যবসায়ীর ছেলেকে চন্ডীপুর থেকে অপহরণ করা হয়। মালয়েশিয়ার সেই ব্যবসায়ী তাঁর ছেলেকে পাঠিয়েছিলেন চণ্ডীপুরে। তাঁকেই অপহরণ করা হয়।”

সেই ঘটনায় ১৬ জন তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু সোহমের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হল না কেন, এমনটাই প্রশ্ন তুলেছেন শঙ্কু। সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ভোট প্রচারের সময় কোনও বিশেষ কারণে চণ্ডীপুরে দেখা যায়নি সোহমকে। যদিও এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বিধায়ক অভিনেতার। কয়েকদিন আগে এক রেস্তোরাঁর মালিককে চড় মারার অভিযোগ ওঠে সোহমের বিরুদ্ধে। সোহমের দাবি, রাগের মাথায় ওই কাজ করে ফেলেছিলেন তিনি।

আজ সাংবাদিক বৈঠকে ওই অডিও ক্লিপ শোনানোর পর শঙ্কুদেব বলেন, “এটা ট্রেলার শোনাচ্ছি, ফিল্ম আমাদের কাছে আছে। ঠিক সময়ে আদালতে জমা দেব।”

আরও পড়ুনঃ https://thelocaljournalist.com/%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%b2-