লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতে না হতেই সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে নারদ মামলার শুনানি হয়। নারদ মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম, এসএমএইচ মির্জা, শুভেন্দু অধিকারী, প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মত হেভিওয়েট নেতারা। এর আগে নারদ মামলায় চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতারও করা হয়। কিন্তু সেই চারজন নেতাকে বাদ দিয়ে বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? সোমবার আদালতে এই প্রশ্ন তোলেন এসএমএইচ মির্জার আইনজীবী শ্যামল ঘোষ।
বিচারকের সামনে তিনি বলেন, “মুকুল রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আমার মক্কেল অভিযুক্ত। অথচ মুকুল রায় বা বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী তদন্ত হচ্ছে কেউ জানে না। এতে শুধু আমরা সাফার করছি।” নারদ মামলায় এসএমএইচ মির্জা গ্রেফতার হন এবং প্রায় ৫৬ দিন জেল খাটেন। তাঁর আইনজীবীর প্রশ্ন, ৫৬ দিন ধরে তাঁর মক্কেল জেল খাটলেন, অথচ মূল অভিযুক্ত কেন গ্রেফতার হল না।
এদিন ইডির কাছে বাকি অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে তদন্তের অবস্থান জানতে চান বিচারক। ইডির আইনজীবী জানিয়েছেন, মামলাটি আপাতত হাইকোর্টে বিচারাধীন। আগামী ২৮ তারিখ ফের এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনের সময় নারদ মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাজ্যের চারজন হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরবর্তীতে তাঁরা জামিন পেয়ে যান। কিন্তু শুনানির সময় তাঁদের প্রতিবারই সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন সেই নির্দেশ মেনে মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়রা হাজিরা দেন আদালতে।
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের একটি স্টিং অপারেশনের ভিডিও ঘিরে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যে। বঙ্গ রাজনীতির একাধিক হেভিওয়েট নেতাকে সেই ভাইরাল ভিডিও-য় দেখা গিয়েছিল। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি দ্য লোকাল জার্নালিস্ট। সেই মামলায় বর্তমান শাসক দলের কয়েকজন অভিযুক্ত নেতাকে নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া এগোলেও, বিরোধী দলের একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদৌ কোন তদন্ত হচ্ছে কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে বলেই দাবি ওই আইনজীবীর।
আরও পড়ুনঃ https://thelocaljournalist.com/%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%95-