ফল ঘোষণা হতেই মিডিয়াকে এক হাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে জিতে আরও একবার সরকার গড়তে চলেছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গড়ার স্বপ্নটা এবার অধরাই থেকে গেল নরেন্দ্র মোদির। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে সবুজ ঝড় অব্যাহত। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের এবং দেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানান। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিডিয়া এবং বিরোধী দলের সমালোচনাও করেন।

 

মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, মিডিয়াতে যে এক্সিট পোল প্রকাশ করা হয়েছিল তা বিজেপির তৈরি করে দেওয়া এক্সিট পোল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মিডিয়াটা তো আর মিডিয়া ছিল না, মোডিয়া হয়ে গেছিল”।

 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, এখনও কন্টাই সহ বাংলার চার-পাঁচটা জায়গায় বিজেপি অবজারভাররা তৃণমূল প্রার্থী জিতে যাওয়ার পরেও সার্টিফিকেট ইস্যু করেনি। তার অভিযোগ, যেহেতু নরেন্দ্র মোদি আশানুরূপ আসন পাননি তাই বিজেপি অবজারভাররা জয়ী প্রার্থীদের সার্টিফিকেট আটকে রেখে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করার চেষ্টা করছেন।

 

পাশাপাশি দেশবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব দেশের জনগণের যে তারা নরেন্দ্র মোদিকে সিঙ্গেল লার্জেস্ট পার্টি হিসেবে গুরুত্ব দেননি”। তিনি আরও বলেন, “বাংলার মানুষকে আমি অভিনন্দন জানাব যে, টু থাড মেজরিটির বেশি যদি আমরা প্রত্যেক বিধানসভায় গণনা করি আমাদের ভোটের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এবং যে সমস্ত আসনে আমরা হেরেছি সেখানে আমাদের জোর করে খুব কম মার্জিনেই হারানো হয়েছে।

 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন “উত্তরবঙ্গে ওদের নাকি হোম মিনিস্টার সো কল তার মেরুদন্ড মানুষ ভেঙ্গে দিয়েছে। তেমনি তমলুক কন্টাইতেও ওদের মেরুদণ্ড ভেঙেছে। এমনকি যে সন্দেশখালি নিয়ে এত অপপ্রচার সেই সন্দেশখালিতেও আমরা জিতেছি”।

 

মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বেছে বেছে বিজেপির অবজারভারদের এই রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। রাজ্য পুলিশকে কাজেই লাগানো হয়নি। সবচেয়ে বেশি টর্চার বাংলার উপরে হয়েছে। একদিকে সিবিআই এর অত্যাচার, একদিকে ইডির অত্যাচার, একদিকে ইনকাম ট্যাক্সের, অত্যাচার একদিকে বিজেপির হোম মিনিস্ট্রির অত্যাচার, একদিকে মিডিয়ার অত্যাচার আশা করি এবার আপনারা বুঝবেন”।

 

মিডিয়াকে এক হাত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনাদের ফালতু সার্ভে দেখে, বিজেপির তৈরি করে দেওয়া ফেক সার্ভে দেখে, আমি নিজেই কখনো কখনো নিজের উপর আস্থা হারাচ্ছিলাম। কিন্তু বাংলার মানুষের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ”।