গত কয়েকমাসে ইজরায়েল প্রায় ৩৬ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, সরকারি রিপোর্ট এটা বললেও বেসরকারি হিসেবে যে কোনো সীমা নেই তা বোঝাই যায়। প্যালেস্টাইনের আল আখসা হাসপাতাল কার্যত পরিণত হয়েছে কসাইখানায়, চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মৃত দেহ এবং মৃত দেহের স্তূপ। প্যালেস্টাইনের গায়ে এখন শুধু পুড়ে যাওয়া কালো ছাপ আর ধোঁয়া।
ইজরায়েল নুসরাত এবং দের আখসা শিবিরে অভিযান চালিয়ে চার জন ইজরায়েলি বন্দিকে উদ্ধার করেছে, বদলে আহত করেছে ২১০ জনেরও বেশি মানুষকে।
মূলত এই যথেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে নীরব সারা বিশ্ব, মানুষকে নির্বিচারে মারার উৎসব চলছে। ইজরায়েলের এক গোষ্ঠীর মানুষ বেশ খুশি এই হত্যা কান্ড দেখে। তারা কার্যত মিম বানাচ্ছেন এই গণহত্যাকে কেন্দ্র করে।
এরই মাঝে রাষ্ট্রপুঞ্জ ইজরায়েলকে ফেললো তাদের কালো তালিকায় । মূলত শিশুহত্যা এবং মানুষের ওপর নির্মম অত্যাচারের জন্যই তাদের এই ব্ল্যাকলিস্টে ফেলা। সাথে সাথে যোগ হয়েছে হামাসের নামও।
রাষ্ট্রপুঞ্জের এক প্রতিনিধি , গিলাদ এরদাল জানিয়েছেন, যে দেশের সেনা শিশুহত্যা, গুরুতর জখম, যৌন নির্যাতন, অপহরণ করে বা তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা যেমন হাসপাতাল, স্কুল কিংবা কোনো মানবিক সহায়তা থেকে তাদের বঞ্চিত করে, তাদেরকেই এই কালো তালিকাভুক্ত করা হয়।
যদিও এই ঘটনায় খুবই ক্ষুব্ধ নেতানিয়াহু। তিনি জানান, “নৈতিকতার নিরিখে ইজরায়েলি সেনা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ।”
যদিও ইজরায়েলকে কালো তালিকাভুক্ত করায় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলো সমর্থন জানিয়েছেন।
আজ মধ্যে গাজায় নুসরাত ও দের আল বলায় একটি অভিযান চালায় ইজরায়েল। চার বন্দীকে উদ্ধার করেন তারা এবং তারা সকলেই সুস্থ। এই খবরকে স্বাগত জানিয়েছে আমেরিকা সহ ফ্রান্স আরো বেশ কিছু দেশ। এর পাশাপাশি যুদ্ধবিরতি নিয়েও তারা জোর দিচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ https://thelocaljournalist.com/%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%a6%e0%a6%ab%e0%a6%be-