নিখোঁজ বিলকিসের “এগারো” জন দোষীর মধ্যে “নয়” জনই……

গুজরাটের দারদা জেলার পাশাপাশি দুটি গ্রাম , রাধিকাপুর আর সিংহভাগ। বিলকিস মামলার দোষীদের এগারো জনের বাড়িই এই দুই গ্রামে। কিন্তু বিলকিসের দোষীদের ঘরে সার বেঁধে ঝুলছে তালা। ঠিক দুই বছর আগে গুজরাট সরকার বিলকিস মামলায় অভিযুক্ত এগারো জন দোষীকে মুক্তি প্রদান করলে তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবার পিটিশন দেন বিলকিস বানু। তারপর আবার বছর দুয়েকের লড়াইয়ের পর ২০২৪, ৮ই জানুয়ারি সোমবার সুপ্রিমকোর্ট নির্দেশ দেন দুই সপ্তাহের মধ্যে দোষীদের ফের জেল হেফাজতে ফেরার নির্দেশ দেয় এবং একই সাথে তথ্য গোপন করে অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়ার গুজরাট সরকারের তীব্র নিন্দাও করে সুপ্রিমকোর্ট।

সোমবার কোর্ট থেকে এই রায় বেড়োনোর পরই রাধিকাপুর এবং সিংহভার গ্রামে ঢুঁ মারেন ভারতের সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বেশ কয়েকটি, এবং তারাই তাঁদের রিপোর্টে পেশ করেন বেশির ভাগ অভিযুক্তদের ঘরের বাইরেই ঝুলছে তালা । মূলত সোমবার কোর্টের নির্দেশ বেড়োনোর ঘর ছেড়েছেন তারা। কেউ কেউ বাবা মা কে রেখে স্ত্রী সংসার ফেলে চলে গিয়েছেন অন্য কোথাও, কারোর কারোর আবার কোনো খোঁজই মেলেনি।

আখাম্বাবাই চতুরভাই রাভাল(৮৭) বিলকিস মামলার অন্যতম একজন দোষী গোবিন্দের বাবা জানান “তারা সদ হিন্দু, তার ছেলে এই কাজ করতেই পারেনা, কংগ্রেস ষড়যন্ত্র করে তাদের ফাঁসিয়েছে” তাদের আরো বক্তব্য তার ছেলে গোবিন্দ সহ এই মামলার সাথে জড়িত আরো যেসকল দোষী আছে তারা সকলেই নাকি নির্দোষ। স্থানীয় লোকজন এবং দোকানদার দের মতে সোমবার কোর্টের রায় বেড়োনোর পরই রাতারাতি হওয়া হয়ে গেছে এইসকল অভিযুক্তরা। তাদের মতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ই গা ঢাকা দিয়েছেন এই সকল দোষীরা।