২২শে রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ প্রত্যাক্ষান কংগ্রেসের।

১৯৯২, ৬ই ডিসেম্বর , ধ্বংস করা হলো বাবরি মসজিদ। এই নারকীয় ধ্বংসকাণ্ডে প্রাণ গেলে শয়ে শয়ে মানুষের। বলা হলো এই ভূমি নাকি স্বয়ং শ্রী রামের জন্মভূমি, সেখানে জোর করে এই মসজিদ বানিয়ে রাখা হয়েছে। হিন্দু ধর্মমত অনুযায়ী বিষ্ণুর সপ্তম অবতার শ্রী রাম, তাঁর জন্ম রাজা দশরথ-এর ঘরে , মনেকরা হয় বর্তমানের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা তাঁর জন্মস্থান। তাই তার জন্ম স্থানেই কয়েক হাজার একর জমি নিয়ে তৈরি করা হয়েছে রাম মন্দির যার উদ্বোধন হবে চলতি মাসের ২২শে জানুয়ারি। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজাও। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী, বর্তমান সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এছাড়াও আমন্ত্রণ পেয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিং। তবে তাঁদের মধ্যে কেউই ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠানে যাবেন না বলে জানিয়েছেন।

বুধবার কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা জয়রাম রামেশ একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ”ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয়। তবে রামমন্দিরে বিজেপি এবং আরএসএস রাজনৈতিক কর্মসূচী করে তুলেছে। নির্বাচনী লাভের কথা মাথায় রেখেই অযোধ্যায় অর্ধসমাপ্ত মন্দিরের উদ্বোধন করা হচ্ছে। যা ২০১৯ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং ভারতের কোটি কোটি মানুষের ভাবাবেগের পরিপন্থী।’কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান একটি RSS এবং BJP-র ইভেন্টে পরিণত হচ্ছে। ফলে কোনওভাবেই এই অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের কেউ যোগ দেবেন না।’

বিজেপির জাতীয় সম্পাদক মনজিন্দর সিং সিরসাও কংগ্রেসকে এই মন্তব্যকে নিশানা করে বলেন – “রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠায় যোগ দিতে কংগ্রেস অস্বীকার করেছে, এটা তাদের দলের অবস্থান । তবে এটি বিজেপির ইভেন্ট বলে উল্লেখ করা কি উচিত ছিল?এটা মানা যায় না। আমি তাদের বক্তব্যের নিন্দা জানাই”।

পাল্টা জয়রাম রামেশ বলেছেন- “কংগ্রেস রাম মন্দিরের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের রায় মানছে, রামের উপাসকদের আবেগকেও সম্মান জানাচ্ছে”। খড়্গে, সানিয়া ও অধীর RSS-BJP কর্মসূচি আমন্ত্রণ সস্মানের সাথে প্রত্যাক্ষান করছেন।