ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সুন্দরবনে, তৃতীয় দিনেও জারি নিয়ন্ত্রণের কাজ

সুন্দরবনে আগুন। লতিফের ছিলা ও ড্রেনের ছিলার এর মাঝামাঝি এলাকায় আগুন লাগে, ঘটনাটি প্রথম নজরে আসে গত শনিবার। তার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে বাংলাদেশের বনবিভাগ, কমিউনিটি প্যাট্রলিং গ্রুপ , ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম, টাইগার টিম-সহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ও বনজীবী মানুষজন। তবে ঘটনাস্থল থেকে জলের উৎস দূরে এবং দুর্গমতার কারণে প্রথম দিনে সেখানে জল ছিটোনো সম্ভব হয়নি।

সুন্দরবনে লাগা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আজ, সোমাবর তৃতীয় দিনের মতো কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার ভোর থেকে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমোরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির লতিফের ছিলায় জল ছিটোনো শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগ। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি তাদের সহযোগিতা করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড।
আগুনের কারণে কোনো মৃত বন্য প্রাণী এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুন্দরবনের পাঁচ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের সুন্দরবনের প্রধান বন সংরক্ষক। রবিবার সন্ধেবেলা তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, সুন্দরবনে এই আগুনের ঘটনায় জীববৈচিত্র্যের কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা জানতে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হচ্ছে।

তথ্য অনুযায়ী ৪০-৫০ বছর আগের থেকে বর্তমানে এলাকাটা বেশি উঁচু হয়ে গিয়েছে। নদী ও খালগুলি মরে যাওয়ায় সেখানে কোনো জোয়ার-ভাটা হয় না। ফলে, ম্যানগ্রোভ বনভূমিতে যে বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার, ওই এলাকার বনভূমিতে তা নেই। শুধু বর্ষার মরসুমে ওই এলাকার মাটি জল পায়।

আরও পড়ুনঃ https://thelocaljournalist.com/%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%aa