অস্থির মিডিল ইস্ট, এবার ইরানের হুঁশিয়ারি ইজরায়েলকে।

 

বহুদিন ধরেই ইস্রায়েলের ওপর  ক্ষুব্ধ আছে ইরান, তাই এবার সরাসরি তেহরানের হুঁশিয়ারি ইজরাইলকে। ইজরায়েল এই দ্বন্ধে আমেরিকাকে দূরে থাকারই বার্তা দিয়েছে বলে সংবাদ সংস্থার খবর ।

কিছুদিন আগেই সিরিয়ার দামাস্কারে ইরানি দূতাবাসে হামলা চালায় ইজরায়েলি সেনাবাহিনী । ওই হামলায় জখম হন মোট ৭ জন যার মধ্যে ২জন ছিলেন সেনাবাহিনীর জেনারেল। মূলত তারপর থেকেই ইরান ক্ষুব্ধ ইজরায়েলের ওপর, তখন থেকেই তারা হুঁশিয়ারি ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন ইরানের দিকে । ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির রাজনৈতিক বিষয়ক ডেপুটি চিফ মহম্মদ জামশিদি-এর দাবি তারা বার্তা পাঠিয়েছে আমেরিকার কাছে এবং বলেছে,”নাতনিয়াহুর পাতা ফাঁদে পা দিওনা” । যদিও এর কোনো প্রতিবার্তা আসেনি আমেরিকা থেকে। তবে সূত্রের খবর ইরানি হামলা নিয়ে প্রমাদ গুনছে আমেরিকা। তারা সেই মতো নিচ্ছেন প্রস্তুতিও। বাইডেন সরকারের আশঙ্কা মূলত সাধারণ মানুষ নয় বরং সামরিক ঘাঁটি এবং গোয়েন্দা বিভাগগুলোকেই নিশানা করতে চলেছে ইরান ।

গত বছরের শেষের দিকে গাজা ভূখণ্ডে সামরিক অভিযান চালায় ইজরায়েল। মূলত তারা বলেন হামাসের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে নিঃশেষ করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য তবে পরবর্তীতে সারা বিশ্ববাসি দেখে এক নারকীয় হত্যালিলার । এই হামলার পর থেকেই বহু বার সিরিয়ায় ইরানের ঘাঁটিতে বহুবার সামরিক অভিযান চালান ইসরায়েল। তবে গত মঙ্গলবার দামাস্কারের হামলার আগে পর্যন্ত ইরানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক স্তরে আক্রমণ চালায়নি ইজরায়েল। আমেরিকার দাবি, ইরানকে তারা জানিয়েছে যে ,দামাস্কারের দূতাবাসে হামলার খবর আগাম আচঁ করতে পারেননি তাদের দেশের গোয়েন্দারা।

আমেরিকা এবং তার দোসর ইজরায়েল লেবাননের হিজবুল্লা গোষ্ঠীকে নানা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের মদত দেওয়ার জন্য আঙ্গুল ওঠায় ইরানের বিরুদ্ধে। এবার এই সম্ভাব্য যুদ্ধের মরসুমে হিজবুল্লা গোষ্ঠীর নেতা হাসান নাশরাল্লা খুললেন তার মুখ। মূলত এই নেতা লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকতেই পছন্দ করেন । তিনি বলেন ইজরায়েল ওপর প্রতিহামলার পরে পুরো মিডিল ইস্ট-এর রাজনৈতিক বৈশিষ্টই পাল্টে যাবে । এছাড়াও তিনি বলেন ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যেকোনো হামলার জন্যই প্রস্তুত থাকে হিজবুল্লা গোষ্ঠী।
এর মধ্যেই আমেরিকা হামাস এবং ইজরায়েলের মধ্যে শান্তিচুক্তির শান্তিচুক্তি করতে রাজি করে। সূত্রের খবর বহু ইজরায়েলি বন্ধি আছে হামাসের কাছে । আমেরিকার দাবি সেখানে আমেরিকারও কিছু বন্ধি আছে । ইতিমধ্যেই মিশরের প্রেসিডেন্ট, কাতারের আমিরকে বন্ধিমুক্তি নিয়ে চিঠি লেখেন, যদিও এখনো সেই চিঠির কোনো সদুত্তর আসেনি ।এই সপ্তাহেই মিশরের রাজধানী কাতারে শান্তিচুক্তি নিয়ে বৈঠক হবে বলেই জানা যাচ্ছে। বৈঠকে বসতে চলেছেন কাতার , আমেরিকা এবং মিশরের প্রতিনিধিরা।

সংবাদ সংস্থা~