তবে কি এবার ইজরায়েলের হাত ছাড়ছে আমেরিকা?

আমেরিকার হাত ইজরায়েলের মাথার ওপর থাকায় মধ্য প্রাচ্যের বেশকিছু দেশগুলির ওপর যে প্রচ্ছন্ন সাম্রাজ্যবাদ চালাতে সক্ষম হচ্ছিলো তারা। যুদ্ধে অস্ত্র সাহায্য থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী সব ক্ষেত্রেই আমেরিকার সাহায্য পেয়েছে ইজরায়েল। পরম বন্ধু বলেই দাবি করেন তারা নিজেদের কিন্তু এবার কি সেই পরম বন্ধুই সড়ে যাচ্ছে ইজরায়েলের পাশ থেকে? মূলত আমেরিকা খানিক চাপের মুখে প্যালেস্টাইনপন্থী ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভের জেরে আবার পাশাপাশি আমেরিকার সরকারের অন্দরমহলে বেশ কিছু মতানৈক দেখা যাচ্ছে ইজরায়েলকে অর্থসাহায্য করার ক্ষেত্রে। এই দোলাচলের মধ্যেই এবার গুঞ্জন উঠছে হয়তো এবার ইজরায়েলের হাত ছাড়তে পারে আমেরিকা।

এই অবস্থাতেই একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে একটি বিদেশি গোপন দফতরের মেমো থেকে । সেখানে লেখা আছে আমেরিকা ইজরায়েলকে যে সব অস্ত্র দিয়েছে এবং দিচ্ছে তা যে তেল অভিব আন্তর্জাতিক আইন মেনে ব্যাবহার করছে সে বিষয়ে কোনো “ভরসাযোগ্য সদুত্তর” দিতে পারেনি তারা। এই মেমো পাঠানো হয় আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রীর কাছে । বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল থেকে বলা হচ্ছে এই মেমো বাইডেনের প্রশাসনের ওপর চাপ ফেলবে । এছাড়াও বেশকিছু আধিকারিক গাজা প্রসঙ্গে পদত্যাগ করেন ।

আমেরিকার এই বাড়বাড়ন্ত কোনো দেশই ভালো চোখে দেখছেনা। ন্যাশনাল সিকিউরিটি মেমোরডামের আওতায় ৮ মে-র মধ্যে আমেরিকাকে জানাতে হবে ইজরায়েল সব অস্ত্র আন্তর্জাতিক আইন মেনে ব্যাবহার করছে কিনা। সেখানেও যদি কোনো সদুত্তর না মেলে চাপের মুখে পড়বে বাইডেন।

ইজরায়েল-এর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু-এর দাবি তারা সমস্ত প্রকার আন্তর্জাতিক আইন মেনেই তারা সমস্ত অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এরই মাঝে আবার ইজরায়েল রাফায় হামলা চালু করেছে , খুব তাড়াতাড়ি তারা নিশ্চই স্থল হামলাও চালু করবে। প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আব্বাস বলেন এই অবস্থা থেকে একমাত্র আমেরিকায় বাঁচাতে পারেন তাদের।

আরও পড়ুন :- https://thelocaljournalist.com/israel-targets-rafah-egypt-in-attempt-to-ceasefire/