“কোনো কাগজ দেখাবোনা”

ছবি:-২০২০সালে ইস্ট বেঙ্গলের সমর্থকরা

 

 

২০১৯-এ লোকসভা থেকে পাশ হয় সি এ এ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। বলা হয়েছিল ২০২০ তে কার্যকর হবে এই আইন তবে সেই সময় অসংখ্য সংখ্যালঘু মানুষ এবং সংগঠনগুলোর এবং বিরোধীদের উত্তরোত্তর চাপ এবং মহামারী করোনার দাপটের কারণে পিছু হটে কেন্দ্র। তবে আবার লোকসভা নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই আবারও চালু করা হলো এই আইন।

২০১৯-এ দ্বিতীয়বারের মত জয়ী হওয়ার পরই মোদী সরকার পাশ করেন এই আইন। এই সি এ এ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এ বলা হয় বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতো দেশ থেকে যারা ২০১৪ এর ৩১এ ডিসেম্বরের আগে ভারতে এসেছেন তারা সঠিক কাগজ দেখতে পারলে তাদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার । কিন্তু সেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে শুধু অমুসলিমদেরই ।” ঠিক ভোটের আগে এই আইন চালু করে হিন্দু ভোট টানার চেষ্টা করছে মোদী সরকার” বলছেন বিরোধীরা। বলা হচ্ছে যারা নাগরিকত্ব চাইছেন তারা নিদিষ্ট নথি কেন্দ্র সরকারের গড়া নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য পোর্টালে এপ্লাই করতে হবে। সমস্ত এপ্লিকেশন গুলোকে খতিয়ে দেখবে জেলা স্তরের কমিটি এবং তারপর তা যাবে এই কাজ করার জন্য তৈরি বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির কাছে ।

পাঁচ বছর আগে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ওই সমাজের ঢালাও সমর্থন পেয়েছিলেন বিজেপি। তবে কথা দিয়েও কথা না রাখায় এবার চটে মতুয়ার। তাই মতুয়া ভোট একেবারে সবটা নিজেদের ঝুলিতে আনার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। এবং সি এ এ যদি লাঘু হয় তবে সবচেয়ে বেশি তার প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামে। বলা হচ্ছে অসম মিজোরাম ও ত্রিপুরার জনজাতি এলাকায় লাঘু নয় এই আইন।