ঢুকছে জলীয় বাষ্প, বৃষ্টির সম্ভবনা গাঙ্গেয়বঙ্গে।

 

চৈত্রের এই প্রখর তাপ এবং তাপপ্রবাহের আদতেই প্রাণ ওষ্ঠাগত। এরই মধ্যে একটুকরো স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে বঙ্গোপসাগরের উচ্চচাপ বলয়। যেহেতু উচ্চচাপ বলয়টি সরে আসছে বঙ্গোপসাগরের দিকে সেহেতু তার সাথে সাথে গাঙ্গেয়বঙ্গে ঢুকছে প্রচুর পরিমানে জলীয়বাষ্প তার জেরেই বৃষ্টির সম্ভবনা তৈরি হয়েছে গাঙ্গেয়বঙ্গে। যদিও আরো দুই দিন অর্থ্যাৎ আজ , শুক্রবার এবং কাল শনিবার তাপপ্রবাহের সম্ভবনা আছে। তবে রবিবার দেখা মিলতে পারে বৃষ্টির।

হওয়া অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জানান,”গাঙ্গেয়বঙ্গের উচ্চচাপ বলয়টি তার স্বাভাবিক অবস্থানে ছিলোনা যার জেরেই পরিবেশে বেড়ে গিয়েছিল শুষ্কতা , এবং জেল বাতাসের জায়গায় ঢুকে পড়েছিল পশ্চিমের শুকনো বাতাস। তার মতে আগামী দুদিন উচ্চচাপ বলয়টি আবারও ফিরে আসবে তার সঠিক অবস্থানে এবং ঢুকবে জলীয়বাষ্প। যার প্রমান ঘামের পরিমান বৃদ্ধি। তিনি আরো বলেন বৃষ্টির জন্য যেমন অসহ্য গরম প্রয়োজন ঠিক তেমনই প্রয়োজন উচ্চচাপ বলয়ের সঠিক অবস্থান এবং বাতাসে প্রচুর পরিমানে জলীয়বাষ্প। কারণ গরমে জলীয়বাষ্প আরো গরম এবং হালকা হয়ে ওপরের দিকে উঠে যায় বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে এবং তাপমাত্রার ফারাকের ফলে ঘনীভূত হয়ে বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি ঘটায়।

জলীয় বাষ্প প্রবেশের ফলে এদিন পুরুলিয়া , বাঁকুড়া সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে কিছু এলাকায় বজ্র বিদ্যুৎ সহ মেঘ ঘনীভূত হয় ।এদিন কলকাতার আলিপুর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দমদমে ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মালদাহ এবং বাঁকুড়ায় সর্বোচ্চ ৩৯ এবং ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে আজ , শুক্রবার তাপপ্রবাহের সম্ভবনা আছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বধর্মান, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম এবং দুই মেদিনীপুরে। এছাড়াও দক্ষিণচব্বিশ পরগনায় শনিবার অর্থাৎ আগামীকাল হতে পারে তাপপ্রবাহ।