বদল ঘটলো এইচ১বি ভিসার, নতুন নিয়মে লাভ হবে কি ভারতীয়দের?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবার এইচ১বি ভিসার পদ্ধতিতে আনলো পরিবর্তন। নতুন পদ্ধতি অনুসারে এক দফায় একজন আবেদনকারীর নাম এক বারই গ্রহণ করা হবে । এবছর ১এপ্রিল থেকে যারা এইচ১বি ভিসা ২০২৫এর জন্য আবেদন করেছেন তারা পড়বেন এর আওতায়।

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষিত এবং বিশেষ প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত অভিবাসনের জন্য এইচ১বি ভিসা দেওয়া হয় । তথ্য প্রযুক্তি , বায়োটেকনিক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে। বহু সংখ্যক ভারতীয়রা এই ভিসা নিয়ে যান আমেরিকায় চাকরি করতে। প্রতিবছর প্রায় ৮৫হাজার ভিসা দেওয়া হয়।

২০০৮ থেকে এই ভিসা দেওয়ার জন্য “computer generated random selection” বা লটারি পদ্ধতি চালু করা হয়। তবে “উইনাইটেড স্টেটস সিটিজেনশিপ এন্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস”-অর্থাৎ ওই ভিসা প্রদানকারী সংস্থা ,বেশ কিছু বছর ধরেই এই ভিসার আবেদন পদ্ধতিতে বেশকিছু গোলযোগ দেখতে পাচ্ছেন। বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তির নাম একাধিক সংস্থা পাঠাচ্ছেন ভিসার জন্য । যদিও এটি মোটেই আইন বিরুদ্ধ নয় , বরং যেই সংস্থার হয়ে ওই ব্যক্তির নাম ভিসার জন্য সেলেক্টেড হয়ে যাবে সেই ব্যক্তি সেই সংস্থার হয়েই কাজ করবে। আবার কোথাও কোথাও দেখা যায় কোনো একটি সংস্থাই এক ব্যক্তির নাম বিভিন্ন পদের জন্য নথিভুক্ত করে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন । এই ধরণের পদ্ধতিগুলির জন্যই লটারিতে নাম পাঠানো আবেদনকারীর সংখ্যা আসলে অনেক বেশি কমে যেত।

দেখা গিয়েছে একই ব্যক্তি অনেকগুলি আবেদনের সংখ্যা ২০২১ সালে ২৮, ১২৫ থেকে ২০২৪সালে তা বেড়ে গিয়ে ৪, ০৮, ৮৯১-এ এসে ঠেকেছে। এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট সন্দেহজনক বলেই মনেকরে অভিবাসন দফতর। তাদের দাবি এক ব্যক্তির একাধিকবার আবেদন বেআইনি নয় তবে ইদানিংকালে বহু ছোট ছোট সংস্থা একই ব্যক্তির নাম বহু পদের জন্য নথিভুক্ত করে দফতরে পাঠাচ্ছেন যার ফলে লটারিতে ওই ব্যক্তির নাম উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে । তাই এবার থেকে দফতর থেকে নতুন নিয়ম এক দফায় এক ব্যাক্তি এক বারই আবেদন করতে পারবে । এবং নামের সঙ্গে সঙ্গে জমা দিতে হবে আবেদনকারীর পাসপোর্টে

প্রতিবছর এই এইচ২বি ভিসার ৭০-৭৫% ভারতীয় আবেদন করেন এবং যান আমেরিকায় কর্মসংস্থানের জন্য । তবে এই নতুন নিয়ম কতটা লাভজনক হবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে দফতরের দাবি এরফলে যথেষ্ট সুবিধা হবে সকলের। অনেকবেশি মানুষ লটারিতে পাঠাতে পারবেন তার নাম এবং যোগ্য ব্যক্তিরা হবেন লাভবান এবং অবশ্যই জালিয়াতি কমবে বলেই ধারণা দফতরের।