বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত ২, আজ তোলা হবে বেঙ্গালুরু কোর্টে

বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণ কান্ডে এনআইএ-র জালে ধরা পড়ল দুজন। শুক্রবার দিঘার এক হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুসাভির হুসেন সাজিব এবং আব্দুল মতিন আহমেদ ত্বহা-কে। এই দুই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতেই উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের জন্য তারা রেইকি শুরু করেছিল জানুয়ারি মাসে।

১ মার্চ বেঙ্গালুরুর একটি ক্যাফেতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ৩ মার্চ এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। অভিযুক্তদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকার পুরষ্কার ঘোষণা করা হয় সংস্থার তরফে। এই বিস্ফোরণ কাণ্ডের দুই মূল অভিযুক্ত মুসাভির হুসেন সাজিব এবং আব্দুল মতিন আহমেদ ত্বহা দিঘায় একটি হোটেলে তিনদিন ধরে থাকতে শুরু করে। সূত্র মারফত খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সেই হোটেলেই উল্টোদিকের ঘরে ওঠে এনআইএ আধিকারিকরা। শুক্রবার সকালে তাঁদের গ্রেফতার করে এনআইএ টিম।

তদন্তকারী সংস্থার সূত্র অনুযায়ী, ধৃত দুই আইসিস জঙ্গি শিবমোগা মডিউলের সদস্য। বর্তমানে এই মডিউলের অস্তিত্ব প্রায় বিলুপ্ত। কিন্তু মডিউলের মূল পান্ডা কর্নেল নামে পরিচিত একজন এখনও তদন্তকারী সংস্থার নাগালের বাইরে রয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আাব্দুল ও মুসাভির চেন্নাইয়ে এসেছিল। বেঙ্গালুরুতে কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হবে, তার পরিকল্পনা ও রেইকিও করেছিল। বোমা তৈরির জন্য তাঁরা স্থানীয় দোকান থেকেই নানা জিনিসপত্র কিনেছিল।

তাঁদের হামলার প্যাটার্ন ছিল মেঙ্গালুরুতে কুকার বিস্ফোরণের মতোই। রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণেও ৯ ভোল্টের ব্যাটারি সহ আইইডি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। এই কারণে বিস্ফোরণের পরই মেঙ্গালুরুতে কুকার বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহভাজন শারিক, মেজর মুনির নামক অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী সংস্থা।

এনআইএ-র দাবি, এই হামলায় অনেকেই জড়িত রয়েছে। অভিযুক্তদের অ্যাকাউন্ট ট্র্যাকও করা হয়। কিন্তু তারা ক্রিপ্টো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করায় এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করায় কোনও সূত্র মিলছিল না। পরে তদন্তের সময়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক ব্যক্তিকে ডাকা হয়, যে এই অভিযুক্তদের সঙ্গে মিলে যাওয়া ক্রিপ্টো অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য দেয়।

সেই তথ্য থেকেই প্রথম মুসাভিরের নাম পাওয়া যায়। ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত শিবমোগা মডিউলের জন্য কাজ করত সে। বিগত ৪ বছর ধরে তদন্তকারী সংস্থার র‍্যাডারে ছিল সে। সাজিবের নামেও ৫ লাখ টাকা পুরস্কার রয়েছে। বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল এই সাজিবই। এরপর এই মামলায় নাম জড়ায় আব্দুল মতিন আহমেদ ত্বহারও। ধৃতদের আজ বেঙ্গালুরু কোর্টে হাজির করা হবে।

আরও পড়ুনঃ https://thelocaljournalist.com/%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a7%8d%