ভিন্ন ধর্মালম্বী বলেই কর্ণাটকে মারধর এক যুগলকে।

 

৮ই জানুয়ারি দুপুর একটা নাগাদ এক বছর চল্লিশের ব্যক্তির সাথে কর্ণাটকের হাভেরি জেলার এক হোটেলে এসে ওঠেন বছর ছাব্বিশের এক তরুণী। তাদের হোটেলে ঢুকতে দেখেই এক জৈনিক অটোচালক তাদের পোশাক দেখেই নিশ্চিত হয়ে যান যে তারা ভিন্ন ধর্মের। তার কথা শুনেই তিনটি বাইকে করে ছয় জন যুবক এসে চড়াও হয় সেই যুবক যুবতীর ঘরে এবং তাদের মারধর করেন বলেই অভিযোগ।

পুলিশ সূত্র থেকে জানা যায় , বছর চল্লিশের ওই যুবক সরকারি বাসের চালক এবং বছর ছাব্বিশের ওই যুবতী আদতে বিবাহিত এবং তার সাত বছরের একটি মেয়েও আছে । বিগত তিন বছর ধরেই ওই বছর চল্লিশের যুবকের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এবং ৮ই জানুয়ারি তারা সেই হোটেলের ঘরে উপস্থিত হতেই তাদের ওপর চড়াও হয় ওই ছয় যুবক। মারধর করে তাদের। বছর ছাব্বিশের ওই তরুণী যতবার তার মুখ আড়াল করতে চান ততবার তাকে বাধা দেওয়া হয় এবং অভিযোগ মারধর করা হয় তাকেও। আরো অভিযোগ ওঠে আসে যে ওই মহিলাকে এবং ব্যাক্তিকে হোটেল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে তুলে আনা হয় ।সেখানেও প্রচন্ড মারধর ও কটূক্তি করা হয় তাদের। তরুণীকে লাঠিপেটা ও করা হয় বলে অভিযোগ। তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হয় কেন তারা সেই হোটেলে গিয়েছিল।পরে তরুণীর হাতে পাঁচশো টাকা দিয়ে তাকে বাড়ি চলে যেতে বলা হয়।

এই ঘটনার একদিন পর পুলিশ ওই ছয় জন যুবককে সনাক্ত করেন। যাদের মধ্যে দু জন জেল হেফাজতে, একজন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সত্তর তাকে জেল হেফাজতে নেবে পুলিশ এবং বাকি তিন জনকে সনাক্ত করা হয়েছে খুব তাড়াতাড়ি তাদের ধরা হবে। যদিও এখনো পুলিশি সূত্রে জানা যাচ্ছে যে ঐই ছয় যুবক কোনো বিশেষ রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত নয়। যদিও তা এখনো শুধু মাত্র অভিযুক্ত যুবকদের নিজস্ব বয়ান, এই বিষয়টিকেও খতিয়ে দেখছে পুলিশ । ওই মহিলার স্বামী অভিযোগ করেন শুধু মারধর সম্মানহানিই নয় বরং ধর্ষণও করা হয় ওই মহিলাকে।

তবে শুধু এই ঘটনায় নয় বরং গত শনিবারও ঠিক এরমই আরো এক ঘটনা ঘটার খোঁজ পাওয়া যায়। ভিন্ন ধর্মীয় ছেলে মেয়েকে প্রেমিক প্রেমিকা সন্দেহে মারধর। এই ঘটনায় গ্রেফতার নয় জন অভিযুক্ত।