রামেরভক্তদের দাপটে এবার চরম ভোগান্তি সাধারন মানুষের।।

রাম মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে দেশের এক বৃহৎ সংখ্যক মানুষের উন্মাদনা ছিলো বহুদিন ধরেই কিন্তু এবার এই লাগাম ছাড়া উন্মাদনা নিয়ে পারে সাধারণ মানুষদের ভোগান্তির কারণ। দেশের শীর্ষ হাসপাতালগুলি, যেখানে হাজার হাজার রুগী প্রতিদিন আসছেন তাদের শারীরিক সমস্যা নিয়ে সেই সকল হাসাতালগুলিই এদিন থাকবে আংশিক বন্ধ। দিল্লির এমস ২২শে জানুয়ারি বন্ধ থাকবে সকাল থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত।

শুধু এমস নয় কেন্দ্রীয় সরকার চালিত সব হাসপাতালই এদিন আংশিক বন্ধ থাকবে রাম মন্দিরের উদ্বোধনের জন্য বলেই ঘোষণা। হতে পারে চূড়ান্ত ভোগান্তি রোগীদের। ধর্মীয় কারণে এইভাবে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলি নৈতিক কিনা তা নিয়েই উঠে আসছে প্রশ্ন। কিন্তু এতো প্রশ্নের পরও সাধারণ মানুষদের দুর্ভোগের কথা না ভেবেই রাম ভক্তরা বলছেন “রাম ভারোসে” অর্থাৎ রামই ভরসা। এই ধরনের অলীক মন্তব্যের নিন্দা করছেন অনেকেই। বহু রোগী বহু দূর দূর থেকে আসেন নিজেদের রোগের চিকিৎসা করাতে কিংবা চেক -আপে। কি হবে সেই সব মানুষদের? কোথায় যাবেন তারা? রাম মন্দিরের উদ্বোধন বলে কি শরীর খারাপ পালিয়ে যাবে? উঠছে প্রশ্ন।

শুধু হাসপাতালই নয় কেন্দ্রীয় বহু বিশ্ববিদ্যালয়েও অবিভিপি চালাচ্ছে জোরদার প্রচার। শোনা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনেই নাকি তারা পালন করবে উৎসব। অভিযোগ উঠে আসছে এই ধরণের উদ্যোগ উপাচার্যর মোদতেই হচ্ছে। জে এন ইউ সহ বেশ কিছু কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যাল যেগুলো আদতে বাম ছাত্র সংগঠনগুলির শক্ত ঘাঁটি সেগুলিকে বহুদিন ধরেই বিজেপি আর এস এস এবং তাদের বিভিন্ন শাখা সংগঠনগুলি দখল করতে চাইছে, এই রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে তারা আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় নাকি ২২শে জানুয়ারি নাকি পুরো ক্যাম্পাস ঘিরে দেওয়া প্রদীপে।

দেশের আর এক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইএসসি বেঙ্গালুরু জানিয়েছে রাম মন্দির উদ্বোধনে তাদের কর্মসূচি। সকালে লাইভ রাম মন্দিরের উদ্বোধনের স্কিনিং থেকে শুরু করে প্রসাদ বিতরণ, প্রদীপ জ্বালানো ইত্যাদি।

দেশের আর এক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলীগড় উনিভার্সিটিতেও নাকি পালন করা হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তবে এই নিয়ে বেঁধেছে বিতর্ক। কার্যত দুভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে ছাত্রের একাংশ। কিছু সংখ্যক ছাত্রের দাবি,”ধর্মীয় বিষয় নিয়ে ক্যাম্পাসে মাতামাতি না করাই ভালো”