সন্দেশখালি ঘটনায় কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরামবাগে যাওয়ার আগে তিনি দাবি করেন, ‘যতদূর সম্ভব যাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, যাঁরা হিংসা ছড়িয়েছেন, তাঁদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ সত্যি কি সকলে গ্রেফতার হয়েছে?এদিকে এখনও বেপাত্তা শেখ শাহাজাহান, খোঁজ নেই শিবু হাজরারও ,কিন্তু সন্দেশখালির ঘটনায় ‘যতদূর সম্ভব’ সকলকেই গ্রেফতার করা হয়েছে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার আরামবাগে যাওয়ার জন্য ডুমুরজলা হেলিপ্যাডে নামার পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মমতা দাবি করেন, যাঁদের বিরুদ্ধে সন্দেশখালিতে ক্ষোভ এবং যাঁরা হিংসা ছড়িয়েছেন, তাঁদের সবাইকে ‘যতদূর সম্ভব’ গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সন্দেশখালি সফরের প্রেক্ষিতে মমতা বলেন, তিনি যেতেই পারেন(অর্থাৎ রাজ্যপাল)। সকালেই আমাদের রাজ্য মহিলা কমিশনকে পাঠিয়েছিলাম আমি, ওরা ঘুরে এসে রিপোর্ট দিয়েছে। আর অলরেডি তো অ্যারেস্ট হয়ে গিয়েছে। আপনারা দেখেছেন।

এদিকে কেরল সফর কাটছাঁট করে সোমবার সকালে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন। তার আগে রাজ্যপাল জানান, সন্দেশখালির বীভৎসতায় তিনি আর চুপ করে থাকতে পারেননি। তাই তড়িঘড়ি রাজ্যে ফিরে এসেছেন। তাঁর কথায়, ‘শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। ভয়াবহ ঘটনা। সন্দেশখালির অলিগলিতে ঘুরে সন্দেশ নেব।’

 

যদিও ‘সন্দেশ’ নিতে যাওয়ার সময় বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল। মিনাখাঁর কাছে রাস্তার দু’ধারে প্ল্যাকার্ড হাতে একদল মহিলা দাঁড়িয়েছিলেন। কেন্দ্রের কাছে রাজ্য সরকারের যে বকেয়া টাকা, তা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি তোলা হয়। কোনও প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, রাজ্যপাল আগে যেন ১০০ দিনের কাজের খাতে বকেয়া যে টাকা আছে, সেটা নিয়ে আসেন। আবার কোনও প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা বাংলাকে দিচ্ছে না কেন? কেন্দ্রের বিজেপি সরকার – জবাই চাই, জবাব দাও।’ আর প্ল্যাকার্ডের নীচে সৌজন্য হিসেবে লেখা ছিল, ‘মিনাখাঁ ব্লক, উত্তর ২৪ পরগনা।’সন্দেশখালি এইমুহুর্তে ঠিক কেমন আছে ভাবতে পারছেন?