‘না ফেরার দেশে’- প্রখ্যাত বিশিষ্ট উর্দু কবি মুনাওয়ার রানা।

রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ৭১ বছরে বয়সের প্রখ্যাত উর্দু কবি মুনাওয়ার রানা । ‘মা’ উর্দু সাহিত্যে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছিলেন তিনি।মুনাওয়ার রানা ২০১৭ সালে ফুসফুস ও গলায় ইনফেকশনের শিকার হন এবং কিডনির সমস্যার কারণে নিয়মিত চিকিৎসাও নিচ্ছিলেন, যার জন্য তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছিল। এদিন তাঁর কন্যা সুমাইয়া রানা, সংবাদ সংস্থা RTI কে নিশ্চিত করে জানান যে তাঁর বাবা হাসপাতালেই রবিবার বেশ রাতের দিকে মারা গিয়েছেন। সোমবার তাঁকে সমাধিস্থ করা হবে। শিল্পীর ছেলে তাবরেজ রানা PTI কে বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে গত ১৪-১৫ দিন ধরে বাবা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সূত্রের খবর প্রথমে তাঁকে লখনউয়ের মেদান্তায় ভর্তি করা হয়েছিল এবং তারপর SGPGI-এ স্থানান্তরিত করা হয় যেখানে তিনি রাত ১১টা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে।’

 

সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে কবির মৃত্যু সংবাদে কথা জানিয়ে শোকপ্রকাশ করেন। তিনি কবির একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন -‘তো অব ইস গাঁও সে, রিশ্তা হমারা খতম হোতা হ্যায় , ফির আঁখে খোল লি যায় কি, সপনা খতম হোতা হ্যায়।’ এরপর তিনি লেখেন, ‘দেশের জনপ্রিয় কবি মুনাওয়ার রানার মৃত্যুর খবর অত্যন্ত কষ্টকর। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। সশ্রদ্ধ সাথে প্রণামও জানান তিনি।’

 

‘প্রখ্যাত কবি মুনাওয়ার কে’- সে সম্পর্কে জানিয়ে রাখা প্রয়োজন–

সামাজিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কবিতা লেখার জন্য জনপ্রিয় ছিলেন মুনাওয়ার রানা।১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারিতে মুনাওয়ার ভারতের উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন , তবে তিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কলকাতা , পশ্চিমবঙ্গে কাটিয়েছেন । তাঁর কবিতায় প্রায়শই সামাজিক-রাজনৈতিক সমস্যা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং মানুষের অভিজ্ঞতার চিত্র সুচারু ভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। 2014 সালে তাঁর একটি বিখ্যাত কবিতা ‘শাহদাবা’-এর জন্য সাহিত্য একাডেমি পুরস্কারে অর্জন করেন। পাশাপাশি 2012 সালে তিনি উর্দু সাহিত্যে তার সেবার জন্য শহীদ শোধা সংস্থা কর্তৃক মাটি রতন সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি।