সর্বজিৎ সিংয়ের হত্যাকারীকে গুলি করে খুন, অজ্ঞাতপরিচয়’কে ধন্যবাদ অভিনেতা রণদীপ হুডার

টিএলজে নিউজ ডেস্কঃ গুলি করে খুন করা হয়েছে সর্বজিৎ সিংয়ের হত্যাকারীকে। এমনটাই জানাল সংবাদ সংস্থা পিটিআই। ২০১৩ সালে লাহোর জেলে হত্যা করা হয় ভারতীয় বন্দী সর্বজিৎ সিংকে। তাঁর হত্যাকারী হিসাবে উঠে আসে আমির সরফরাজ তাম্বার নাম। এবার সেই তাম্বাকেই খুন করেছে কোন এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি, এমনটাই জানা গিয়েছে। লাহোরের ইসলামপুরা এলাকায় তাঁকে গুলি করে মারা হয় বলে অভিযোগ। ২৬/১১র ঘটনার ‘মাস্টার মাইন্ড’ হাফিজ সইদের খুব কাছের মানুষ হিসাবেই পরিচিত আমির সরফরাজ তাম্বা।

এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন অভিনেতা রণদীপ হুডা। লেখেন, “‘কর্ম’। ধন্যবাদ ‘অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি’। আমার বোন দলবীর কৌরকে মনে পড়ছে। স্বপনদীপ ও পুনমকে ভালবাসা। আজ সর্বজিতের প্রতি কিছুটা ন্যায় করা গেল।” প্রসঙ্গত, সর্বজিতের বায়োপিকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন রণদীপ হুডা।

প্রসঙ্গত, পঞ্জাবের তরণ তারণ জেলার বাসিন্দা ছিলেন ৪৯ বছর বয়সী সর্বজিৎ সিং। ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত এলাকায় তাঁর বাড়ি। ১৯৯০ সালে পাকিস্তান সীমান্ত থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।  প্রাথমিকভাবে তাঁর উপর বেআইনিভাবে পাক সীমান্তে ঢুকে পড়ার অভিযোগ তোলে ইসলামাবাদ। এরপর এক মামলায় তাঁকে ফাঁসিয়ে জেলবন্দি করে রাখার অভিযোগ ওঠে। তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ ছিল, ওয়াঘা সীমান্তে জমিতে কাজ করতে গিয়ে আর ফেরেননি সর্বজিৎ।

১৯৯১ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে কোট লাখপত জেলে পাঠানো হয়। সে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে গেলেও মেলেনি সুবিচার। দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ড। সর্বজিতের দিদি দলবীর কৌর সবরকম লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন ভাইকে ফিরিয়ে আনতে। অন্যদিকে পাকিস্তানের জেলে সর্বজিতের উপর নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। কোমায় চলে যান তিনি। ভারতের তরফে বারবার তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করা হয়। অন্য কোনও দেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোরও আর্জি জানানো হয়। কিন্তু সে কথায় কর্ণপাত করেনি পাকিস্তান। ১ মে লাহোরে মারা যান সর্বজিৎ। সর্বজিৎ হত্যায় নাম জড়িয়েছিল তাম্বার। গ্রেফতারও হয় সে। তবে পাকিস্তান আদালত ২০১৮ সালে তাঁকে নির্দোষ বলে ছেড়ে দেয়।

আরও পড়ুনঃ https://thelocaljournalist.com/%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be